Tetol bij gura | তেঁতুল বীজ গুঁড়া
বাংলাদেশের মানুষের কাছে তেঁতুল (Tetul bij gura) বেশ জনপ্রিয় একটি ফল। আচার ও আচার জাতীয় ফল হিসেবে তেঁতুলের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। তেঁতুলের আচার মানেই জিভে পানি চলে আসার মতো ব্যাপার। বিভিন্ন ধরনের ফল মেখে খাওয়ার ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে আমাদের কাছে শুধু তেঁতুলই জনপ্রিয় নয়, তারচেয়ে বেশি জনপ্রিয় তেঁতুলের বিচি। কেননা সম্প্রতি ভারত থেকে ৯০ মেট্রিক টন তেঁতুলের বিচি আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
সাধারণত তেঁতুলের কথা শোনা গেলেও তেঁতুলের বিচির কথা খুব একটা শোনা যায় না। তবে তেঁতুলের বিচি যে একেবারে ফেলনা নয়, তা বোঝা গেল এর দাম শুনেই। বাংলাদেশ ভারত থেকে প্রতি টন তেঁতুলের বিচি আমদানি করেছে ২০০ মার্কিন ডলার মূল্যে। তাহলে ভাবুন এর জনপ্রিয়তা ও চাহিদা কত বেশি। দেশীয় উৎপাদনের বাজারে চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না বলেই এখন আমদানি হচ্ছে এ তেঁতুলের বিচি।
তেঁতুল বীজ গুঁড়া(Tetul bij gura) হল তেঁতুলের বীজকে শুকিয়ে ও পিষে তৈরি করা এক ধরনের গুঁড়া। তেঁতুলের বীজ গুঁড়া বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি, এবং হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য সাহায্য করতে পারে।
Tetul bij gura কিছু উপকারিতা:
তেঁতুল বীজ সাধারন বলকারক, দ্রুত পতন রোধ করে ও শক্তি বৃদ্ধি করে, বীরয উৎপাদন, শুক্রের উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ বন্ধ করে।
পণ্যের প্রকৃতিঃ তেঁতুল বীজ পাউডার$তেঁতুল বীজ পাউডার/চূর্ণ ভিটামিন সি-এর বড় উৎস। ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে।$ত্বককে উজ্জ্বল করে।
ব্রণের সমস্যা দূর করে
তেঁতুল বীজ গুঁড়া স্বাস্থ্য উপকারিতায় সমৃদ্ধ একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এর মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণের কারণে এটি বিভিন্ন রোগের প্রতিকার এবং শরীরের সুস্থতায় সহায়ক হতে পারে। তেঁতুল বীজ গুঁড়ার কিছু উপকারিতা নিম্নরূপ:
-
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি:
তেঁতুল বীজ গুঁড়ায় পেটের পিএইচ লেভেল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যা হজম প্রক্রিয়া সুষ্ঠু রাখে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।পেট ব্যথা বা কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যার সমাধান যদি চান, তেঁতুলের সাহায্য নিন।তেঁতুলের মধ্যে টার্টারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম আছে যা কোষ্ঠন্যকাঠিন্য দূর করে। আয়ুর্বেদে এখনও তেঁতুল পাতা ডায়েরিয়া সারাতে ব্যবহার হয়। এছাড়াও তেঁতুল গাছের ছাল এবং শিকড় পেটের ব্যথা দূর করতে ব্যবহার করা হয়। -
ওজন কমাতে সাহায্য:
তেঁতুল বীজ গুঁড়ার মধ্যে থাকা ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শরীরের মেটাবলিজম উন্নত করতে সাহায্য করে, যার ফলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।তেঁতুলে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার আছে আবার একই সঙ্গে এটা সম্পূর্ণ ফ্যাট ফ্রি। গবেষণায় দেখা গেছে যে রোজ তেঁতুল খেলে ওজন কমে।
ওজন কমাতে flavonoids and polyphenols এর উপস্থিতি কাজ করে। এছাড়াও এর উপস্থিত hydroxycitric acid খিদে কমায়।
-
শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ:
তেঁতুল বীজ গুঁড়া শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি বিশেষত গ্রীষ্মকালীন রোগ বা তাপজনিত সমস্যা কমাতে সহায়ক হতে পারে। -
রক্তচাপ কমানো:
তেঁতুল বীজ গুঁড়ায় পটাশিয়ামের উপস্থিতি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। তেঁতুল খুবই হার্ট ফ্রেন্ডলি। এতে উপস্থিত ফ্ল্যাভরনয়েড ব্যাড কোলেস্টেরল কমায়। আবার রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড ( এক ধরণের ফ্যাট ) জমতে দেয় না। এতে উপস্থিত উচ্চ পটাশিয়াম রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে। -
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
তেঁতুল বীজ গুঁড়া ইনসুলিনের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে, ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। তেঁতুলের বীজ ডায়বেটিস কন্টোল করতে সক্ষম। আবার রক্তে চিনির মাত্রাও ঠিক রাখে। এতে উপস্থিত এক ধরণের এনজাইম যার নাম (alpha-amylase)রক্তে চিনির মাত্রা কমায়। -
ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী:
তেঁতুল বীজ গুঁড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারি। এটি ত্বকের বলিরেখা কমাতে এবং চুলের স্বাস্থ্যে সহায়তা করতে পারে। -
এন্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ:
তেঁতুল বীজ গুঁড়া শরীরে প্রদাহ কমাতে সহায়ক, যা অস্টিওআর্থারাইটিস বা অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগের উপশমে সাহায্য করতে পারে।
খাওয়ার সাধারণ নিয়মঃ
রাতে ১ চামচ পাউডার হাফ গ্লাস পানিতে ভেজাবেন এবং সকালে শুধু পানিটুকু খাবেন ও নিচে জমানো অংশ ফেলে দিবেন। সকালেও একই নিয়মে ভেজাবেন ও একই নিয়মে রাতে খাবেন। অথবা ডাক্তারের কাছে থেকে পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
এছাড়া, তেঁতুল বীজ গুঁড়া ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াতেও সহায়তা করে, শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। তবে, এর ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।