Dulal Bhar Talmishri | দুলাল ভড়ের তালমিছরি
তালমিছরির কথা উঠলেই আসে দুলালচন্দ্র ভড়ের নাম,খাঁটি তালের গুড় দিয়ে মিছরি বানানো হয়,তাল থেকে তৈরি তালমিছরি দেহের নানা উপকারে আসে।এর উপাদানগুলো মস্তিষ্ক ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
চিনির বিকল্প:
তালমিছরি এর পুষ্টিগুণ-
তালমিছরিতে আছে প্রচুর পরিমাণে এসেনশিয়াল ভিটামিনস, মিনারেলস (ক্যালশিয়াম,পট্যাশিয়াম,আইরন,জিঙ্ক,ফসফরাস ইত্যাদি) আর আমাইনো এসিডস। একটি অল্প লভ্য ভিটামিন, বি ১২,যা মূলত আমিষাশী খাবারেই পাওয়া যায়,তা পাওয়া যায় এই তালমিছরিতে। এ ছাড়াও এতে আছে ২৪ টি প্রাকৃতিক উপাদান,যার জন্য এটি প্রভূতভাবে আয়ুর্বেদিক ঔষধি তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।
তালমিছরির (Dulal Bhar Talmishri) মধ্যে থাকা গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্সের মাত্রা ৩৫। যা রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ায় না। বরং নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকে ভিটামিনও খনিজ উপাদান। তবে যাদের সুগার রয়েছে তাদের তালমিছরি কিন্তু বেশি না খাওয়াই ভালো।
তালমিছরি এর উপকারিতা-
আনিমিয়া :
তালমিছরিতে (Dulal Bhar Talmishri) প্রচুর পরিমান আয়রন থাকার দরুণ এটা আনিমিয়াতে ভীষণ ভাবে কাজে দেয়। বিশেষত মেয়েদের জন্য তালমিছরি খুব উপকারী। আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
হাড়ের সমস্যা সমাধান :
প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়াম আর পোট্যাশিয়াম থাকার কারণে তালমিছরি হাড় ও দাঁত শক্ত করে ও হাড়ের সমস্যা দূর করে।মেয়েদের মেনোপজের পরে হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে এবং হাড় ভাঙ্গার সমস্যা একটি দৈনন্দিন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই ক্ষয় রোধ করতে নিয়মিত তালমিছরি সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়। এই দুটি কারণের জন্য বাচ্চাদের জন্যও তালমিছরি (Dulal Bhar Talmishri) খুব উপকারী।
কিডনি স্টোন এর জন্য:
পেঁয়াজের রসের সাথে তালমিছরি মিশিয়ে কিছুদিন খেলে কিছুদিনের মধ্যেই প্রস্রাবের সাথে কিডনি স্টোন বেরিয়ে যায় । তালমিছরি কিডনির জন্য উপকারী।
সর্দিকাশি:
সর্দিকাশি হলেই 2/3 টি করে খেতে দিতে পারেন দুলালের তালমিছরি। কারণ, সর্দিকাশির ক্ষেত্রে তালমিছরির উপকারিতা যথেষ্ট।তালের গুড় থেকে দুলালের তালমিছরি তৈরি হওয়ায় এই মিছরির গুনাগুন অন্য তালমিছরির তুলনায় অনেকটাই বেশিই।
শিশুদের যত্নে Dulal Bhar Talmishri
শিশুকে চিনির বদলে দুধ কিংবা সুজির সঙ্গে তালমিছরি মিশিয়ে খাওয়ান। এতে শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে। যেসব মায়েরা শিশুকে দুধ পান করাচ্ছেন, তারা কালোজিরা ও তালমিছরি গুঁড়া করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকারে আসে। এমনকী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।