Alkushi Powder | আলকুশি গুঁড়া
প্রায় ২ হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে গুরুত্বপূর্ন ঔষধি ভেষজ হিসেবে আলকুশি (Alkushi Powder) ব্যবহারিত হয়ে আসছে। পোকা-মাকড়ের কামড়, আমাশয়, শারীরিক দুর্বলতা, সর্দি-কাশি সহ নানাবিধ অসুখ থেকে আরোগ্য লাভের জন্য আলকুশি ব্যবহার হয়।
এই বীজের পাউডার একটি প্রাকৃতিক শক্তির উৎস, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। আলকুশির শোধিত বীজের পাউডার দেহের পুষ্টিহীনতা পূরণ করতে সাহায্য করে এবং দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব দূর করে।
আলকুশি (Alkushi Powder) অনেকটা সিমগাছের মতো এবং ছোট ছোট মোমদ্বারা আবৃত, ৪ থেকে ৬ টা বীজ থাকে। প্রতিটি বীজ ৫৫ থেকে ৮৫ গ্রাম ওজন হয়। এর বীজ চেপ্টা, ঈষৎ পীতবর্ণ, মুখটি কৃষ্ণবর্ণ। এর পাতা আট থেকে ১২ সে. মি. পর্যন্ত লম্বা হয় এবং পাতাগুলো বেশ মসৃণ। সারাবছরই পর্যায়ক্রমে ফুল ও ফল পাওয়া যায়। । এবং বীজগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লোম দ্বারা আবৃত থাকে যা সহজেই পৃথক হয়ে যায়। এগুলি ত্বকের সংস্পর্শে এলে প্রচণ্ড চুলকানি সৃষ্টি করে। বানরের সঙ্গে এদের সম্পর্ক হল, যখন আলকুশি ফল পুষ্ট হতে থাকে তখন চুল্কানির ভয়ে বানরের দল ঐ এলাকা ছেড়ে চলে যায়, কারণ এর হুল বাতাসেও ছড়িয়ে পড়ে। বানরেরা ফিরে আসে যখন মাটিতে ফল পড়ে যায়। সেগুলো তারা খায় বিশেষ দৈহিক কারণে।
আলকুশি পাউডার এর উপকারিতা
নাম্বার আকারে তুলে ধরা হলো আলকুশি গুড়ার উপকারিতা:
১) কোন পোকা মাকড়ের কামড়ে বা বিছের দংশনে আলকুশীর বীজের গুড়া লাগালে অনেক যন্ত্রণা কমে যায়।
২) এর শিকড়ের রস এক চামচ করে একমাস খেলে আমাশয় রোগ সারে।
৩) আলকুশির (Alkushi Powder) পাতার রস ফোঁড়ায় দিলে অচিরেই সেটি ফেটে যায়।
৪) এর বীজ চিনি ও দুধসহ সেদ্ধ করে খেলে বাত রোগের উপশম হয়, শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়, শুক্র বৃদ্ধি ও গাঢ় হয় এবং স্নায়বিক দুর্বলতা দূর করে।
৫) এর শিকড়ের রসে জ্বর, সর্দি-কাশি ভালো করে।
৬) আলকুশির শিকড়ের মণ্ডু মূত্রবর্ধক ও মূত্রযন্ত্রের রোগ নিরাময়ে বেশ উপকার।
৭) এর কাণ্ডের রস চোখের রোগের ক্ষেত্রেও ফলপ্রসূ।
৮) শিকড়ের রস জীবজন্তুর গায়ের ঘায়ে লাগালে ক্ষত দ্রুত সরে যায়।
(Alkushi Powder) খাওয়ার নিয়মঃ
প্রতি রাতে ১ চা চামচ পরিমাণ আলকুশি বীজ পাউডার হাফ গ্লাস দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে । প্রয়োজনে মধু বা মিছরি মিশিয়ে নিতে পারেন ।