rexfoodbd.com

প্রাকৃতিক ভাবে যৌন সমস্যার সমাধান করুন

যৌন সমস্যা

যৌন সমস্যা

যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া বা এ ধরনের কোন কাজে উৎসাহ না পাওয়ার মতো উপসর্গ অনেকের মধ্যে থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ কী তা জানেন না অনেকেই।
 
স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন সংস্থা এবং চিকিৎসকরা বলছেন, এ ধরনের উপসর্গের পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে টেস্টোস্টেরন নামে এক ধরনের লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া। একে বলা হয় টেস্টোস্টেরন ঘাটতি।

যৌন কর্মহীনতা হল শারীরিক আনন্দ, আকাঙ্ক্ষা , পছন্দ, উত্তেজনা বা প্রচণ্ড উত্তেজনা সহ স্বাভাবিক যৌন ক্রিয়াকলাপের যেকোনো পর্যায়ে একজন ব্যক্তি বা অংশীদারদের দ্বারা অনুভব করা অসুবিধা। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন যৌন সমস্যা কর্মহীনতাকে “ব্যক্তির ইচ্ছামত যৌন সম্পর্কে অংশগ্রহণ করতে অক্ষমতা” হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে।

১.আলকুশি গুঁড়ার উপকারিতা
✅ শারীরিক শক্তি ও স্ট্যামিনা বাড়ায়।
✅ বিশেষ সময়ে দুর্বলতা(যৌন সমস্যা) ও দ্রুতপতন এর কার্যকরী সমাধান।
✅ বীর্য ঘন করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
✅ পারকিনসন রোগে কার্যকর। মানসিক দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে।
✅ বাতের ব্যথা, জ্বর-কাশি, বুকে জমে থাকা কফ দূর করে। 
✅ দ্রুত ক্ষত সারিয়ে তোলে। আমাশয় রোগে কার্যকর।

২.অশ্বগন্ধা গুঁড়ার উপকারীতাঃ
প্রাচীনকাল হতে অশ্বগন্ধা একটি আফ্রোডাইজিয়াক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিংবদন্তি শাস্ত্র কাম সূত্রে অশ্বগন্ধাকে অত্যন্ত শক্তিশালী যৌন উত্তেজক ভেষজ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আসলে, অশ্বগন্ধা ভেষজ আফ্রোডাইজিয়াক পণ্যগুলির মধ্যে একটি অনন্য। অশ্বগন্ধা কামাকাঙ্ক্ষা হ্রাস এবং ইরেকটাইল ডিসফাংশনের চিকিৎসায় কার্যকরী ভেষজ হিসেবে স্বীকৃত। পুরুষরা যখন অশ্বগন্ধা সেবন শুরু করেন, তখন তাদের দেহে নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বেড়ে যায়। এটি যৌন আকাঙ্ক্ষা এবং তৃপ্তির বৃদ্ধি ঘটায়। তাছাড়া অশ্বগন্ধা যৌনক্ষমতা বাড়ায়।এটি প্রমাণিত যে অশ্বগন্ধা শরীরে টেস্টোস্টেরন ও প্রোজেস্টেরনের পরিমান বাড়াতে পারে। ফলে যৌন মিলনের ইচ্ছে বাড়ে। প্রাচীনকাল থেকেই ছেলেদের যৌন সমস্যা দূর করতে অশ্বগন্ধা ব্যবহার করা হয়। 

৩.বীর্যমূল/বীর্যমনি গুঁড়ার উপকারিতাঃ-

  • বীর্যমনি গুঁড়া দ্রুত বীর্যপাত বন্ধের সাহায্য করে থাকে।
  • বীর্য যদি পাতলা হয়ে থাকে তাহলে বীর্যমনি গুড়া সেবনের মাধ্যমে পাতলা বীর্য গাঢ় (যৌন সমস্যা ) করতে সহায়তা করে।
  • পুরুষের শারীরিক দুর্বলতা থাকে বীর্যমনি খাওয়ার ফলে শারীরিক দুর্বলতা এবং মানসিক যৌন দুর্বলতা দূর হয়।
  • বীর্যমনি পুরুষের বীর্য ঘন করে বলে একে বীর্যমনি নামে ডাকা হয় এটা নিয়ম মাফিক খেলে গ্যাস্ট্রিক, ধাতু দুর্বলতা, যৌন দুর্বলতা সহ বিভিন্ন রোগের কাজ করে থাকে।

    ৪. কাতিলা গামের উপকারীতাঃ

    বীর্য গাঢ় করে: যদি কম কামশক্তি (যৌন শক্তি) থাকে কিংবা বীর্য পাতলা হয় তবে কাতিলা গামের নিয়মিত ব্যবহার আপনাকে প্রচুর পরিমাণে সাহায্য করবে পারে। পুরুষের বীর্য গাঢ় এবং বীর্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে কাতিলা গাম।


    ৫.শিমুল মূল গুঁড়ার উপকারিতাঃ

    শুক্রবর্ধক(যৌন সমস্যা)

    শুক্রবর্ধক,প্রদর,বলকারক,কামোদ্দীপক,মলরোধক,মেছতা,উদরাময় ও অতিরিক্ত রক্তস্রাবে উপকারী।

  • প্রদর ও মহিলাদের অতিরিক্ত রক্তস্রাবে হাফ চা-চামচ শিমূল গুঁড়া ১গ্লাস পানি বা গরম দুধের সাথে মধু দিয়ে খেলে অনেক কার্যকারী।
  • শুক্রতারল্য, শারীরিক দুর্বলতা ও যৌন দুর্বলতায় ১ চা-চামচ শিমুল গুঁড়া ১ গ্লাস পানির সাথে সমপরিমাণ লাল চিনি অথবা মধু মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন।

    ৬. তালমাখনার উপকারিতা ঃ

    তালমাখনা দেহ ও মনের প্রফুল্লতা আনে। শুধু তাই নয়, যৌবন শক্তি বৃদ্ধিতে তালমাখনার ভূমিকা ম্যাজিকের মত। এক কথায় এটি শুক্রবর্ধক, যৌনশক্তিবর্ধক, বীর্য গাঢ়কারক ও স্বপ্নদোষ নিবারক। লিউকোরিয়া, শুক্রমেহ, যৌন সমস্যা ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায় বিশেষ কার্যকর। ডায়াবেটিসসহ যে কোনো কারণে যদি যৌনদুর্বলতা আসে তালমাখনা দিয়ে তৈরি ওষুধে তা দ্রুত দূর করা যায়। তালমাখনার পাতা ও শাখার জোসান্দা লিভার এবং কিডনির প্রতিবন্ধকতা দূর করে। এটি কোষ্ঠ পরিষ্কারক, মূত্র ও ঘর্ম প্রবাহক। তালমাখনার পাতার প্রলেপ বাত ও সন্ধি ব্যথা উপশমে যথেষ্ট ভুমিকা রাখে।

    কী করবেন

    কোনো ব্যক্তি যদি ইরেকটাইল ডিজফাংশনের শিকার হন, তবে হতাশা বা সংকোচে না ভুগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক সঠিক কারণটি খুঁজে বের করে সঠিক সমাধান বাতলে দিতে পারবেন।

    অনেক সময় স্রেফ মানসিক চাপমুক্ত হলে বা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করলেই উন্নতি সম্ভব। ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ বা অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এসব রোগে স্নায়ু ও রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে মিলনে সমস্যা হয়। ধূমপান পুরোপুরি বর্জন করুন, অ্যালকোহল গ্রহণের মাত্রা সীমিত করুন এবং অবৈধ নেশা দ্রব্য ব্যবহার করবেন না। ওজন ঠিক রাখুন ও নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। সুষম ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণ করুন। রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানো ও বিশ্রাম নেওয়া, মানসিক চাপ, অবসাদ, দুশ্চিন্তা বা অন্যান্য সমস্যাকে অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। অধিকাংশ পুরুষের ক্ষেত্রেই ইরেকটাইল ডিজফাংশন কোনো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা নয়, বরং সাময়িক একটি জটিলতামাত্র।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *